রায়ানের জন্মদিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি

Date:

গল্প :   রায়ানের জন্মদিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি…!

………………………………………………।।

১৪ই ফেব্রুয়ারি…”দি ডে অফ্ লাভ” হিসেবে পালন করা হয় “সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনে”র নামে (রোমান মাইথলজি অনুসারে যুদ্ধ দেবতা মার্স ও সৌন্দর্য দেবী ভেনাসের পুত্র প্রেম-ভালোবাসার দেবতা “কিউপিডের” জন্যও এই দিনটির উল্লেখ করা হয়)।

বিকেলের প্রেয়ারটা তাড়াতাড়ি শেষ করে ফাদার ফ্র্যান্সিস চ্যাপেলের বাইরে বেরিয়ে সিস্টার মলির কিনে আনা হোয়াইট লোটাসের রিং দুটো নিয়ে চ্যাপেলের পেছনের ছোটো বাগানটার দিকে হাঁটতে শুরু করলেন…বাগানের ঠিক মাঝখানে পাশাপাশি দুটো সিমেন্টের ক্রুশ দেয়া বেদি রয়েছে, তার গন্তব্যস্থান সেখানেই।

” ইন দি মেমোরি অফ্ ভিক্টর পল অ্যান্ড জেসিকা পল “…এখানেই তারা নিশ্চিন্তে পাশাপাশি ঘুমিয়ে আছেন বেশ কয়েকটা বছর ধরে…!

কিন্তু, আজ হয়তো সকলের অগোচরে তারাও যাবেন রায়ানকে তাদের ব্লেজিংস দিতে…১৪ই ফেব্রুয়ারি “ভ্যালেন্টাইন্স ডে” সেইসঙ্গে রায়ানেরও হ্যাপি বার্থডে…আজ সন্ধ্যায় তারই সেলিব্রেশন হবে মিশনারী স্কুলের নতুন ভাবে তৈরি হওয়া হলঘরে, এখানে ঠান্ডার আমেজ এখনও কিছুটা আছে।

মালা দুটো বেদি ফলকের নিচে রেখে ফাদার বিড়বিড় করে বললেন ” আই মাস্ট কিপ ইওর চাইল্ড সেফ অ্যান্ড সিকিওর্ড টিল্ মাই লাস্ট ব্রিদ্ “…অনুভব করলেন তিনি ছাড়াও সেখানে আরো কেউ যেন উপস্থিত রয়েছেন…!

“হ্যাপি বার্থডে টু ইউ…হ্যাপি বার্থডে টু ইউ…হ্যাপি বার্থডে টু ডিয়ার রায়ান…হ্যাপি বার্থডে টু ইউ…..” বন্ধুদের শুভেচ্ছায় রায়ান আপ্লুত…

এগারো পেরিয়ে সে আজ পা দিচ্ছে বারোর ঘরে। জন্মদিনের শুভ সন্ধ্যায় বন্ধুদের শুভেচ্ছা বার্তা, হাততালি, হৈ-হুল্লোড় আর চেঁচামেচিতে রঙিন বেলুন আর ফুলে সাজানো মাঝারি মাপের হলঘরটা কিছুক্ষনের মধ্যেই আনন্দ মুখর হয়ে উঠলো…

বড়ো চকলেট কেকের ওপরে রাখা ছোট বার্থডে ক্যান্ডেল গুলোকে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে একটুকরো কেক কেটে পাশে দাঁড়ানো ফাদারের দিকে বাড়িয়ে ধরলো রায়ান…ফাদার ফ্র্যান্সিস মাথাটা একটু ঝুঁকিয়ে একটু কেক কামড়ে নিয়ে বাকিটা রায়ানের দিকেই বাড়ালেন…”মে দি অলমাইটি জেসাস বি উইথ ইউ অলওয়েজ…মাই চাইল্ড…!

কেকের টুকরোটা খেয়েই ফাদারকে দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রায়ান…তার চোখের কোনা দুটো চিক চিক করছে…”নো ওরিস্ রায়ান…দে আর নাও উইথ জেসাস ইন হিজ ওউন প্লেজান্ট হেভেন…” ফাদার রায়ানের দিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারলেন রায়ানের দুটো চোখ এখন জলে ভরে উঠেছে…!

তার মাথার চুলগুলো আদর করে একটু ঘেঁটে দিয়ে তিনি বললেন “তুমি ফ্রেন্ডসদের সঙ্গে বার্থডে সেলিব্রেট করো রায়ান মাই চাইল্ড, আমার ইভিনিং প্রেয়ারের সময় হয়ে গিয়েছে, আমি চলে যাচ্ছি এখন…” এই বলে ফাদার ফ্র্যান্সিস দরজার দিকে পা বাড়ালেন তার প্রেয়ার চ্যাপেলে যাবার উদ্দেশ্যে; সামনের ওই ছোট মাঠটা পার করেই তাকে চ্যাপেলে পৌঁছাতে হবে…

কার্সিয়াং শহরের নামকরা মিশনারী বোর্ডিং স্কুলের হলঘরটা তখন কোলাহলে মুখর…হাতের মুঠোয় “রোজারিও” টা আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে চাঁদের আলোয় ধীরে ধীরে মাঠ পার হবার সময় ফাদার ফ্র্যান্সিস জানেন এখন আর তার কোনোভাবেই পেছন ফিরে তাকানো চলবে না…কোনোমতেই চলবে না…!

চ্যাপেল এর ভেজানো দরজাটা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই তার নাকে টাটকা গোলাপের মিষ্টি গন্ধটা অনুভূত হলো…”ইয়েস…দে কেম অ্যান্ড প্রেইড টু জেসাস ফর দেয়ার ওনলি চাইল্ড…!”

রায়ানের জন্য স্পেশাল প্রেয়ার করার আগে ফাদার চ্যাপেলে তার জন্য নির্দিষ্ট ঘরে ঢুকে ট্রাংক খুলে কাপড়ের ভাঁজগুলো সরিয়ে কাঠের বাধানো ফটো ফ্রেমটা বের করলেন…দুধ সাদা মারুতি জেন গাড়িটার সামনে ছোট্ট রায়ানকে কোলে নিয়ে মিস্টার ভিক্টর পলের গা ঘেঁষে জেসিকার হাসি মুখে তোলা এই ছবিটা সেদিন ফাদার নিজেই তুলে দিয়েছিলেন…কিন্তু, তখনও কি তিনি জানতেন, এটাই তাদের শেষ ছবি আর শেষ দেখা হতে চলেছে…! ধর্মান্তরিত ভিক্টর ও জেসিকা আর কোনোদিনও আসবেন না ফাদারের কাছে তাদের আদরের রায়ানকে দেখতে…!

ফ্ল্যাশ ব্যাক টু পাস্ট:- আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে পাহাড়ের বিপদজনক ‘হেয়ারপিন’ বাঁকের মুখে উল্টোদিক থেকে আসা স্টুডেন্টস্ ভর্তি বাসটাকে সাইড দিতে গিয়ে গার্ড-ওয়াল রেলিংয়ের মাটি আলগা হয়ে দুধ সাদা সেই মারুতি জেনটা…স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ফাদারের চোখ ঝাপসা হয়ে এলো…কয়েক ফোঁটা নোনা জল সেই ফটো ফ্রেমের ওপরেই পড়ে গেলো…..

“জেসি…তুমি দেখবে আমাদের রায়ান একদিন খুব বড় হবে, খুব সুনাম হবে ওর, অনেক বড় মনের মানুষ হবে, মিশনারী বোর্ডিং স্কুল আর চার্চের কঠিন অনুশাসন ওকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলবে…”

“ভিকি…আই ট্রাস্ট আপোন ইউ অ্যান্ড ফাদার টু…”

ফাদার ফ্র্যান্সিসের সামনে বলা তাদের কথাগুলো এখনও টাটকা হয়ে আছে ওনার স্মৃতিতে!

ফাদার সেদিন খবরটা পেয়েছিলেন বিশপের গাড়ির ড্রাইভার মাধব সোয়াইনের মুখে…চার্চ বিশপকে শিলিগুড়ি স্টেশনে ড্রপ করে ফেরার পথে মাধব গাড়ি দুর্ঘটনার সেই অভিশপ্ত জায়গাটা পার হয়েছিল…

খবরটা তার মুখে শুনেই ফাদারের মনটা কু ডেকেছিল…নিজের ল্যাম্বরেটর স্কুটার স্টার্ট করে সঙ্গে সঙ্গে তিনি রোহিণীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন…..

মাউন্টেন রেসকিউ টিমের সদস্যরা বড় ভারী ক্রেনের সাহায্যে খাদের মধ্যে থেকে সাদা গাড়িটা তোলার কাজ প্রায় সেরে ফেলেছে…রেসকিউ টিমের বাকি সদস্যরা তখন দুটি রক্তাক্ত নিথর তালগোল পাকিয়ে যাওয়া দেহকে প্যাক আপ করে হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় করছে…

একঝলক দেখার পরেই ওনার মনে হলো পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়ে তিনি যেন শূন্যে ভাসছেন…”ওহ্হ্..জেসাস…ইটস ভিক্টর অ্যান্ড জেসিকা…!”

মিশন হাসপাতালের ডক্টর রিচার্ডকে অনুরোধ করে তিনি সেই মৃতদেহ দুটির স্বত্বাধিকার নিয়েছিলেন। এরপর অনেক অনুনয়-বিনয় করে ক্যাথিড্রাল বিশপ ফিলিপের কাছ থেকে তার চ্যাপেলের পিছনের ফাঁকা জমিতেই দেহ দুটি কবর দেবার প্রয়োজনীয় অনুমতিও নিয়েছিলেন, বিশপ প্রথমে রাজী না থাকলেও পরে অনুমতি দিয়েছিলেন যেহেতু এই মিশনারী স্কুলের সম্পূর্ন জমির স্বত্ব স্বেচ্ছায় ভিক্টর ও জেসিকা ছেড়ে দিয়েছিলেন ওনাদের ক্যাথলিক চার্চের হাতে…প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েছিলেন স্থানীয় থানার তৎকালীন অফিসার-ইন-চার্জ বিমল গুরুং থেকেও…

রায়ানকে সেদিন সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তাকে মিথ্যের আশ্রয়ও নিতে হয়েছিল “দয়ালু প্রভু যীশু ওনাদের থাকার জন্য একটা ভালো জায়গায় ব্যবস্থা করেছেন, রায়ান…” ছোট্ট রায়ান তার মুখের দিকে তাকিয়ে কি বুঝেছিল কে জানে! তবে এটা নিশ্চয়ই বুঝেছিল যে ওর পাপা, মাম-মাম আর কোনোদিনই এসে ওকে কোলে নেবে না…সবাই এসে ওই দিন তাকে অনেক খেলনা আর চকলেট গিফট করে গেছিল… হয়তো ওকে সাময়িক ভুলিয়ে রাখার জন্য!

ফ্ল্যাশ ব্যাক টু ফার পাস্ট:- বছর পনেরো আগে…মধ্য যুবা হিমাংশু খ্রীষ্ট ধর্মে বিশ্বাসী ও দীক্ষিত হয়ে কর্সিয়াং শহরে পা রেখেছিলেন কেরালার সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রাল রেভারেন্ড ভিভিয়ান ডি’কষ্টা আর চার্চ বিশপ ফিলিপের নির্দেশে ক্যাথলিক মিশনারী স্কুল স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ব্যবস্থা করতে। স্থানীয়দের মধ্যে কেউ হয়তো তখন গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিল, এই খ্রিষ্টান ধর্ম যাজক আসলে স্কুল স্থাপনের আড়ালে সবাইকে খ্রীষ্ট ধর্মান্তরিত করতে চাইছেন…!

ফলশ্রুতিতে তিনি বেশ অনেকদিন পর্যন্ত কোথাও কোনো জমি স্কুলের জন্য জোগাড় করতে পারেননি উল্টে বিভিন্ন জায়গায় তাকে বিস্তর বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছিল; একদিকে কাজের ব্যর্থতা আরেকদিকে রেভারেন্ড ভিভিয়ানের ক্রমাগত তাগাদায় তিনি একটা সময় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন…।

একদিন সন্ধ্যায় ভাড়া নেয়া একফালি ছোট ঘরটায় গভীর হতাশায় ডুবে তিনি রেভারেন্ডকে তার দায়িত্ত্ব পালনের অক্ষমতার কথা জানিয়ে চিঠি লিখতে শুরু করলেন…

“আমি কি একটু ভেতরে আসতে পারি ফাদার?”

“ইয়েস প্লিজ কাম” লেখা থেকে মুখ না তুলেই ফাদার উত্তর দিলেন।

“ফাদার…আমি আপনাদের মিশনারী স্কুলের জন্য জমি দিতে রাজি আছি…”

কথাটা শুনে ওনার নিজের কানকেই বিশ্বাস হচ্ছিল না… বিস্মিত হয়ে চকিতে ঘুরে গিয়ে ফাদার সেই সুদর্শন যুবকটিকে জিজ্ঞেস করলেন…” আপনি কি বলছেন? আরেকবার বলুন তো!”

“ফাদার, আপনি ঠিকই শুনেছেন, অনেকটা জমি আমি নিঃশর্তেই দিতে চাই, সব জেনেই এখানে আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি…আমি ডক্টর ভাস্কর পল চাইল্ড স্পেশালিস্ট, আমার রেসিডেন্স এখান থেকে খুব দূরে নয়…আমি কাল সকালে এসে আপনাকে নিয়ে যাবো সেখানে…আপনি তৈরি থাকবেন…ঠিক সকাল দশটার সময় আমি আপনাকে নিতে আসবো…!”

হাতে চিমটি কেটে ফাদার পরীক্ষা করে দেখলেন আদৌ তিনি কোনো স্বপ্নের ঘোরে আছেন কিনা… নাহ্, বেশ জোরেই তো ব্যাথা লাগলো!

“ঠিক আছে, আগামীকাল আপনি আসলেই আমি বেরিয়ে যাব জমির লোকেশন দেখতে…আশাকরি এই বিষয়ে আপনি আমার সঙ্গে কোনোরকম মজা করছেন না!”

“ট্রাস্ট মি ফাদার…প্লিজ…বাই…!” একথা বলেই ভাস্কর বেরিয়ে গেলো।

ঠিক সকাল দশটার সময় ঝকঝকে সাদা মারুতি জেন আর তার মিসেস সুদেষ্ণার সঙ্গে ভাস্কর ফাদারকে জমিটা দেখাতে নিয়ে গেলো…

খুব ভালো লোকেশন, স্কুলের জন্য কোলাহল মুক্ত আদর্শ জায়গা। বেশ অনেকটা ফাঁকা জায়গাও রয়েছে…”ইয়েস, ইটস দি বেষ্ট!” ফাদার ফ্র্যান্সিসের কাছ থেকে পছন্দের স্বীকৃতি পেতেই ভাস্কর আর সুদেষ্ণার মুখ খুশিতে ভরে উঠলো…

“খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই জমির আইনি হস্তান্তরও করে আপনাকে দিয়ে দেবো ফাদার”…সুদেষ্ণার কথায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন “এটার মূল্য কত রেখেছেন আপনারা?”

“আপনাকে কোনো আর্থিক মূল্য দিতে হবে না এর জন্য তবে এখানে যারাই পড়তে আসবে তারা সবাই যেন বিনামূল্যেই শিক্ষা পায় সেটা শুধু আপনি নিশ্চিত করবেন…” সুদেষ্ণার উত্তরে তিনি দেখলেন পাশে দাঁড়ানো ভাস্কর হাসিমুখেই তার আর্কিটেক্ট মিসেসের কথায় সম্মতি দিলো…।

“নিশ্চিন্ত থাকুন আপনারা, আমাদের ক্যাথলিক মিশন কার্সিয়াংয়ের কোনো ছাত্র ছাত্রীর কাছেই শিক্ষার জন্য আর্থিক মূল্য বিনিময় করবে না।”

এরপর খুব তাড়াতাড়ি আইনি হস্তান্তর করে ভাস্কর আর সুদেষ্ণার দায়িত্বেই স্কুলের ইমারত তৈরি হলো আর সেইসঙ্গে মাঠের একপাশে উপাসনার জন্য একটা চ্যাপেলও তৈরি করে দেয়া হলো…সেন্ট পিটার্সের ক্যাথলিক ট্রাস্টি প্রচুর পরিমাণে আর্থিক সাহায্য দিয়েছিল তাদের এই মহান কাজের জন্য।

স্কুলের উদ্বোধনের দিন রেভারেন্ড ডি’কস্টা, চার্চ বিশপ ফিলিপ সকলেই এই শুভ সূচনায় উপস্থিত ছিলেন… হঠাৎই সকলকে চমকে দিয়ে উপস্থিত সকল গণ্যমান্য অতিথিদের সামনে ভাস্কর আর সুদেষ্ণা রেভারেন্ড ডি’কষ্টা আর বিশপ ফিলিপের কাছে তাদের স্বেচ্ছা ব্যাপটিজমের জন্য আবেদন করে বসলো…

পবিত্র জর্ডন নদীর জল ও হোলি বাইবেল ছুঁয়ে শপথ নিয়ে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে তাদের তারা দুজনেই প্রভু যীশুকে পরবর্তীকালে তাদের আরাধ্য ঈশ্বর বলে স্বীকার করে নেয়…তাদের নতুন নামকরণ করেন ফাদার ফ্র্যান্সিস নিজেই…ভিক্টর পল আর জেসিকা পল এই নাম দুটোই হয়ে যায় তাদের বাকি জীবনের জন্য পরিচয়…।

আফটার ফ্ল্যাশ ব্যাক:- রাত্রের প্রেয়ারটা ফাদার আজকের বিশেষ দিনে তাড়াতাড়িই সেরে ফেললেন…বিশেষ ভাবে প্রে করলেন তিনি জেসাসের কাছে রায়ানের জন্য…

চ্যাপেলের জানালাগুলি বন্ধ করার সময় ফাদারের মনে হলো বার্থডে সেলিব্রেশন হলঘরের কাঁচের জানালার পাশে দুটো অস্পষ্ট অবয়ব যেন পরস্পরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ভেতরের আনন্দ অনুষ্ঠান দেখছে…ওরাই হয়তো রায়ান কে প্রাণভরে তাদের স্নেহাশিস উজাড় করে দিচ্ছেন…প্রতি বছরই তারা আসেন সকলের অগোচরে…হয়তো আগামী দিনগুলিতেও নিয়ম করে আসবেন এই বিশেষ দিনটিতে…!

মনে আনন্দ আর দুঃখ উভয়কেই সঙ্গী করে ফাদার ফ্র্যান্সিস চ্যাপেলের দরজায় তালা বন্ধ করে বাইরে বেরিয়ে পড়লেন…”মে জেসাস ব্লেজ ইউ অল”…হাতের রোজারিওটা দু চোখে ছুঁইয়ে বুকে ক্রুশ কেটে দয়ালু প্রভু যীশুর স্মরণ নিয়ে তিনি পা বাড়ালেন তার নির্দিষ্ট রেসিডেন্স কোয়ার্টারের দিকে…..!

নীলিমা সেন(নীলা) রায়পুর ,ছত্তিশগড় , ইন্ডিয়া।

 

*গড কিউপিড: রোমান আর গ্রীক উভয় মাইথলজিতেই বিদ্যমান। সংগৃহিত।

*ব্যাপটিজম : ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মে প্রবেশ করার সময় প্রথম ধর্মানুষ্ঠান হিসেবে এই কাজ করা হয়। এটি দীক্ষার একটি ধর্মানুষ্ঠান যা আপনি শুধুমাত্র একবারই গ্রহণ করতে পারবেন। এর অর্থ, একবার আপনি এটি গ্রহণ করলে, আপনি আনুষ্ঠানিকভাবে খ্রিস্টের ধর্ম ক্যাথলিক চার্চের আনুষ্ঠানিক ধর্মানুষ্ঠানে প্রবেশ করছেন।* সংগৃহীত। নীলা: .

 

The Sailor
The Sailorhttps://www.thesailor.us/
“ The Sailor Magazine ” একটি অরাজনৈতিক এবং অসম্প্রদায়িক ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশী ভাই বোনদের কথা বলা এবং আমরা যারা বাংলাদেশে মাতৃভূমিতে বসবাস করছি সকলের মধ্যে সমন্বয় হিসেবে আমরা আছি সবসময়, দেশ-বিদেশের খবরা-খবর সকল বিষয়ে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করাই আমাদের লক্ষ্য।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

Popular

More like this
Related

পল আলেকজান্দ্রার

লোহার তৈরি ফুসফুসে বেচে ছিলেন ৭০ বছর , নাম...

রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে

আজ সোমবার বাংলাদেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে...

বিল্লাল হোসেন রাজু

জীবনের প্রথম চাকরি অফিস সহকারী পদে ২০১২ সালে। তারপর...

ছোটবেলায় ভাবতাম রোজা রেখে ইফতারে রুহ্ আফজা না খেলে রোজা হবে না।

ছোটবেলায় ভাবতাম রোজা রেখে ইফতারে রুহ্ আফজা না খেলে...